Skip to content

ঈদে বিছনাকান্দি-রাতারগুল-জাফলং-লালাখাল ট্যুর

১৭ জুন ২০১৮ তারিখ রাত ১১টায় রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুল থেকে বাসে শুরু হবে আমাদের যাত্রা। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার হয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলবে সিলেটের উদ্দেশে। ১৮ জুন সকালের নাস্তা শেষে আমরা যাব বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান মালনিছড়া চা বাগানে। সেখান থেকে যাব প্রকৃতির অপার মায়ায় বিছানো জল-পাথরের মেলার বিছনাকান্দি। সেখানে চড়–ইভাতির মতো দুপুরের খাবার শেষে যাব জলের বাগান রাতারগুল। এরপরের যাত্রা হযরত শাহজালাল র.-এর মাজারে। পরের দিন সকালে যাব জাফলংয়ে স্বচ্ছ পানির নিচে চকচকে বালির পিয়াইন নদীতে। দুপুরের খাবার শেষে এরপর যাব আর এক স্বচ্ছ পানির লালাখালে। বিকেলে আসার পথে যাব হযরত শাহপরান র.-এর মাজারে। এদিন রাতের খাবার শেষে রওয়ানা দেব ঢাকার উদ্দেশে।

ভ্রমণ খরচ: জনপ্রতি ৪,৯৫০/= (চার হাজার নয়শত পঞ্চাশ) টাকা। ৩ বছরের নিচে ফ্রি।

যোগাযোগ: ০১৬১২-৩৬০৩৪৮ (মোস্তাফিজুর রহমান), ০১৬৮৪-১৫২৫৮৫ (তুহিন)।

ব্যুকিংয়ের শেষ তারিখ: ৩০ মে ২০১৮। ব্যুকিংয়ের সময় সম্পূর্ণ ভ্রমণ খরচ পরিশোধ করতে হবে।
বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে খরচসহ দিতে হবে (বিকাশ নম্বর ০১৬১২-৩৬০৩৪৮)।

খরচের অন্তর্ভূক্ত: রিজার্ভড নন এসি বাসে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা যাওয়া-আসা। টুইন ও ট্রিপল শেয়ার বেসিস হোটেল ভাড়া। ট্রলার ভাড়া। রিজার্ভড নন এসি গাড়িতে সাইটসিয়িং। সকালের নাস্তা। দুপুরের খাবার। বিকেলের স্ন্যাকস। গাইড। গাড়ি পার্কিং ও ড্রাইভারের খাবার। এন্ট্রি ফি।

খরচে যা থাকছে না: ফকিরাপুল আসা ও ট্যুর শেষে সেখান থেকে বাসায় যাওয়া। চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত খরচ। মেনুর বাইরে অতিরিক্ত কোনো খাবার। কোমল পানীয়। হোটেল বা রিসোর্টে অতিরিক্ত কোনো রুম নিলে তার ভাড়া। অনাকাঙ্খিত কোনো খরচ। যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।

মেনু: সকালের নাস্তা: পরাটা, সবজি, ডিম, চা।
দুপুর ও রাতের খাবার: সাদা ভাত, সবজি, ভর্তা, মুরগি/মাছ, ডাল (যেকোনো চারটি)।
স্ন্যাকস: বিস্কুট, সিঙ্গারা, ফল, চা (যেকোনো দুটি)।

যা যা সাথে নিতে পারেন: গোছল করতে চাইলে গামছা, লুঙ্গি ও সাবান। হালকা শীতের কাপড়। পানির বোতল। টিস্যু। ক্যামেরা ও ব্যাটারি। মোবাইল চার্জের জন্য ডাটা ব্যাংক। ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস ও সানব্লক। প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।
নেয়া যাবে না: ব্যক্তিগত জিনিস বহনের জন্য কোনোভাবেও ট্রলি নেয়া যাবে না।

ট্যুর পরিকল্পনা

শূন্য দিন: রাত ১১টায় ঢাকার ফকিরাপুল থেকে সিলেটের উদেশে রওয়ানা। সারা রাত জার্নি।

প্রথম দিন: সকালে গাড়ি থেকে নেমে হোটেলে চেক-ইন। সকালের নাস্তা শেষে যাব দেশের সবচেয়ে প্রাচীণ চা বাগান মলানিছড়া। অপরূপ সাজে সজ্জিত এই বাগান আপনার চোখ ও মনে প্রশান্তি এনে দিবে। ছবি তোলার আকর্ষণীয় স্থান এই মলানিছড়া। সেখান থেকে জল-পাথরের শয্যাখ্যাত বিছানাকান্দির উদ্দেশে রওয়ানা দেব। বিছানাকান্দি যেখানে শিলা এবং পাথরের মধ্য দিয়ে জল প্রবাহিত হয়। বড় বড় পাথরের বিপরীতে পানি ফ্লাসের মাধ্যমে নিজেকে ভিজানো আপনার ভ্রমণকে আরো আনন্দঘন পরিবেশে অতিবাহিত করবে। বিছানাকান্দিতে দুপুরের খাবার শেষে আমাদের গন্তব্য হযরত শাহজালাল (র:)-এর মাজার। এরপর আমরা ফিরে আসব হোটেলে। রাতের খাবার শেষে হোটেলে অবস্থান করব।

দ্বিতীয় দিন: সকালের নাস্তা শেষে আমরা যাব প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে। পাহাড়ি নদী থেকে পাথর তোলার দৃশ্য, পিয়াইন নদীতে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। জাফলংয়ে দুপুরের খাবার শেষে যাব নীল স্বচ্ছ জলের লালাখাল। প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানাজাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখাল জুড়ে। পানি আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া এখানকার মানুষের জীবনযাত্রাও আপনাকে দেবে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এরপর সিলেটে আসার পথে যাব হযরত শাহপরান (র:)-এর মাজারে। সিলেট পৌঁছে রওয়ানা দেব ঢাকার উদ্দেশে। পথে হবে রাতের খাবার। ঢাকায় পৌঁছে সমাপ্তি হবে ট্যুরের।

নির্দেশিকা
 গাড়ি ছাড়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে ফকিরাপুলের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে।
 গাড়িতে উঠার পূর্বে নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধের রশিদ দেখিয়ে সিট বুঝে নিতে হবে।
 সিলেট যাওয়া ও ঢাকায় ফেরার পথে গাড়িতে পূর্ব নির্ধারিত সিটে বসতে হবে।
 টুইন/ থ্রি-ইন শেয়ার ভিত্তিতে রুম বরাদ্দ করা হবে।
 একটি হাফ লিটার বোতলসহ প্রত্যেকের জন্য প্রায় চার লিটার মিনারেল ওয়াটার বরাদ্দ থাকবে।
 অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হলে টিম লিডার অথবা সহযোগী টিম লিডারকে বলতে হবে। হোটেলবয়কে খাবারের অর্ডার দেয়া যাবে না।
 ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য প্রত্যেককে প্রত্যেকের সহযোগিতা করতে হবে।
 অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
 নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
 অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
 এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। সবাইকে পারিবারিক সম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।

 

1 thought on “ঈদে বিছনাকান্দি-রাতারগুল-জাফলং-লালাখাল ট্যুর”

  1. Pingback: ভারতের মেডিক্যাল ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট | Dhaka Tourist Club

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *