আকর্ষণ : তাবু ও ট্রলারে রাত যাপন, ইলিশের বার-বি-কিউ উৎসব, বাইচের মজা নিতে পদ্মায় সাঁতার ও নৌকা চালানো প্রতিযোগিতা।
টিম লিডার: মোস্তাফিজুর রহমান, মোবাইল: ০১৬১২৩৬০৩৪৮।
ভ্রমণকাল: ২ দিন ২ রাত।
ভ্রমণ শুরু ১৬ মার্চ রাত ১১টা, স্থান- ঢাকা সদরঘাট, সমাপ্তি ১৮ মার্চ বিকেল ৩টা, স্থান- ঢাকা সদরঘাট।
ভ্রমণ খরচ
ডাবল কেবিনে চাঁদপুরের ইচলি যাওয়া, সাধারণ চেয়ারে ঢাকা আসা: জনপ্রতি ৩,২০০/= টাকা। ১০ বছরের নিচে হলে ২,৭০০/= টাকা।
লঞ্চের ডেকে যাওয়া, সাধারণ চেয়ারে আসা: ২,৮০০/= টাকা, ১০ বছরের নিচে হলে ২,৩০০/= টাকা।
সিঙ্গেল কেবিনে ইচলি যাওয়া, সাধারণ চেয়ারে ঢাকা আসা: জনপ্রতি ৩,৪০০/= টাকা। ১০ বছরের নিচে হলে ২,৯০০/= টাকা।
ক্লাবের মেম্বারদের জন্য: ৩,০০০/= টাকা (যাওয়া কেবিন, আসা সাধারণ চেয়ার)।

এরকম একটি ট্রলারে দেব পদ্মা-মেঘনা পাড়ি
লঞ্চে যাওয়া-আসা ছাড়াও এই খরচে থাকছে
ট্রলার ভাড়া, সকালের নাস্তা, দুপুর ও বিকেলের স্নাকস, দুপুরের খাবার, বার-বি-কিউ উৎসব, সাঁতার ও নৌকা চালানো প্রতিযোগিতা।
রাতে তাবুতে থাকার জন্য নিজ ব্যবস্থাপনায় তাবু সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে যেতে হবে।
খরচে যা থাকছে না
সদরঘাটে আসা-যাওয়া ও প্রবেশ নিজ দায়িত্বে করতে হবে।
ব্যক্তিগত খরচ, অনাকাঙ্খিত কোনো খরচ।
যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।
অংশগ্রহণ করতে চাইলে
অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ, এককপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও নির্ধারিত ফি ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরাসরি জমা দিতে হবে।

পদ্মায় জাল ফেলেছেন মাঝিরা। এখন অপেক্ষা। পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দেয়ার সময় এসব জেলে নৌকা থেকে আমরা টাটকা ইলিশ সংগ্রহ করব। সেই ইলিশ দিয়েই হবে বার-বি-কিউ উৎসব।
ভ্রমণসূচি
১৬.০৩.১৬: রাত ১১টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে এমভি রফরফ-২ লঞ্চের কেবিনে যাত্রা শুরু। (লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের এক মিনিটও দেরি করে না। কারো দেরি হলে নিজ দায়িত্বে ইচলি ঘাটে পৌঁছাতে হবে।)
১৭.০৩.১৬: খুব ভোরে চাঁদপুরের ইচলি লঞ্চঘাটে পৌঁছানো, সকালের নাস্তা গ্রহণ, সকাল ৮টায় ট্রলারে পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দেয়া, ট্রলারে পরিচয় পর্ব, মেঘনার পশ্চিম পাশ দিয়ে অগ্রসর ও লগিমারা চরে পৌঁছানো, দুই নদী পাড়ি দেয়ার সময় টাটকা ইলিশ সংগ্রহ (জ্যান্ত পাওয়া গেলে অগ্রাধিকার), তাবু নির্মাণ, দুপুরের খাবার গ্রহণ, বিকেলে নৌকা চালানো প্রতিযোগিতা (নৌকা বাইচের মজা নেয়া), সন্ধ্যায় ইলিশের বার-বি-কিউ উৎসব ও জোছনা উপভোগ, তাবু ও ট্রলারে রাত কাটানো।
১৮.০৩.১৬: হালকা নাস্তার পর পদ্মায় সাঁতার প্রতিযোগিতা, সকালের নাস্তা গ্রহণ, চাঁদপুরের উদ্দেশে ট্রলার যাত্রা, ট্রলারে র্যাফেল ড্র, লঞ্চে দুপুরের খাবার গ্রহণ, এমভি রফরফ-২ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা (লঞ্চ ছাড়বে দুপুর ১২টায়), বেলা ৩টা নাগাদ ঢাকা সদরঘাটে পৌঁছানো, ভ্রমণের সমাপ্তি ঘোষণা।
(ভ্রমণসূচি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।)

ওই যে সামনে বিশাল পানি দেখছেন ওখানে হবে সাঁতার ও নৌকা চালানো প্রতিযোগিতা। ক্যাম্পিংও হবে এর আশে পাশে।
খাবরের মেনু
প্রথম দিন
সকালের নাস্তা: পরাটা, সবজি, ডিম, চা। স্থান: ইচলি লঞ্চঘাট।
দুপুরের স্নাকস: রুটি, কলা। স্থান: ট্রলার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, শাক, মাছ, ডাল। স্থান: লগিমারা চর।
বিকেলের স্নাকস: বিস্কুট, চা। স্থান: লগিমারা চর।
রাতের খাবার: ইলিশের বার-বি-কিউ উৎসব, সাদা ভাত, সবজি/শাক/ভর্তা, ডাল। স্থান: লগিমারা চর।

ডাকাতিয়া নদী যেখানে শুরু
দ্বিতীয় দিন
ভোরে হালকা নাস্তা: বিস্কুট। স্থান: লগিমারা চর।
সকালের নাস্তা: খিচুরি, চা। স্থান: লগিমারা চর।
দুপুরের স্নাকস: রুটি/বিস্কুটা। স্থান: ট্রলার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, সবজি, মাংশ, ডাল। স্থান: লঞ্চ।

দুই অভিযাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন পদ্মা-মেঘনার মিলনস্থলের ঠিক সামনে। ওনাদের একপাশে পদ্মা আর একপাশে মেঘনা। এরকম দৃশ্য উপভোগ করা যাবে এই ট্যুরে।
সাথে যা যা নিতে পারেন
শীত নিবারণের জন্য কম্বল, শীতের হালকা কাপর, কান টুপি। রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানার চাদর, মশারি। টর্চ লাইট, মোবাইল চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক। গোসলের জন্য লুঙ্গি, গামছা, সাবান, লাইফ জ্যাকেট। পানির বোতল, টিস্যু পেপার। রোদ প্রোটেকশনের জন্য ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন। প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।
ভ্রমণকে উপভোগ করুন, অবশ্যই মনে রাখবেন
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না। চরে টয়লেট নেই তাই লঞ্চেই বাথরুমের কাজ সেরে নিতে হবে।
নদী বা পানিতে যাদের ভয় আছে তাদের জন্য এই ট্যুর নয়।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
চরে মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা নেই, এজন্য পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিতে হবে।
রাতে শেয়ালের ডাক শুনে ভয় পাবেন না।
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।

চাঁদপুরের কিংখ্যাত রফরফ-২ লঞ্চে হবে যাওয়া আসা।
পুরষ্কার
সাঁতার প্রতিযোগিতা : এমভি গ্রিন লাইনের ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা লঞ্চ টিকেট।
নৌকা চালানো প্রতিযোগিতা: শান্তি পরিবহনের ঢাকা-খাগড়াছড়ি-ঢাকা বাস টিকেট।
র্যাফেল ড্র
প্রথম পুরষ্কার: শিলংয়ের হোটেল রেইনবোতে ২ জনের একরাত থাকা।
দ্বিতীয় পুরষ্কার: সোহাগ পরিবহনের ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বাস টিকেট।
আরো আকর্ষণীয় ৮টি পুরষ্কার
র্যাফেল ড্রয়ের কুপনের মূল্য ২০/= টাকা। প্রত্যেককে কমপক্ষে পাঁচটি কুপন কিনতে হবে।
আপডেট জানতে ভিজিট করুন: dhakatouristclub.com/tent