লাল আর সবুজের মাখামাখি দূর থেকেই চোখে পড়বে। কাছে গেলে ধীরে ধীরে সবুজের পটভূমিতে লালের অস্তিত্ব আরো গাঢ় হয়ে ধরা দেবে। চোখ জুড়িয়ে দেবে জাতীয় ফুল শাপলার বাহারি সৌন্দর্য। আগাছা আর লতাগুল্মে ভরা বিলের পানিতে ফুটে আছে লাখ লাখ লাল শাপলা। সূর্যের সোনালি আভা শাপলাপাতার ফাঁকে ফাঁকে পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বিলের সৌন্দর্য। নৌকা কিংবা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিলের ভেতর ঢুকলে মনে হবে বাতাসের তালে তালে এপাশ-ওপাশ দুলতে দুলতে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে শাপলারা। সে হাসিতে বিলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দধারা।
বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রাম। গ্রামের নামেই বিলের নাম—সাতলা বিল। তবে শাপলার রাজত্বের কারণে সেটি এখন শাপলা বিল নামেই বেশি পরিচিত। ইতোমধ্যে বরিশালের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিলের কথা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য স্থানে, বিশেষ করে শহরে ইট-পাথরে বন্দি জীবন কাটানো মানুষ প্রশান্তির আশায় ছুটে আসে এ বিলে।
এই বিল ভ্রমণে ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের টিম যাচ্ছে আগামী ১৩ অক্টোবর রাতে। থাকবে দুই দিন।
যেতে চাইলে যোগাযোগ করুন ০১৬১২ ৩৬০৩৪৮ নম্বরে। টিম লিডার: মোস্তাফিজুর রহমান।
ভ্রমণ খরচ: জনপ্রতি ৩,৯৫০/= টাকা, ক্লাবের মেম্বারদের জন্য ৩,৫০০/= টাকা (ঢাকা-বরিশাল বিলাসবহুল লঞ্চের ডেকের টিকেট, সকালের নাস্তা ২টি, দুপুরের খাবার ২টি, রাতের খাবার ২টি, রিজার্ভড মাইক্রোবাস/ মাহিন্দ্র, রিজার্ভড নৌকা/ ট্রলার, বরিশাল শহরে টুইন শেয়ারে হোটেলে অবস্থান, বরিশাল-ঢাকা গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের ইকোনমি সিটের টিকেট)।
লঞ্চে সিঙ্গেল এসি কেবিনের জন্য অতিরিক্ত ৯০০/= টাকা, ডাবল এসি কেবিনের জন্য অতিরিক্ত ১,৮০০/= টাকা, ভিআইপি কেবিনের জন্য অতিরিক্ত ৪,৫০০/= টাকা দিতে হবে।
ব্যুকিংয়ের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
ব্যুকিংয়ের সময় জনপ্রতি ১,০০০/= টাকা পরিশোধ করতে হবে। বাকি টাকা ৫ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
ট্যুরের ধরণ: পারিবারিক গ্রুপ ট্যুর।
রুট: ঢাকা সদরঘাট > বরিশাল > উজিরপুরের সাতলা > বরিশাল > শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের বাড়ি > বায়তুল আমান মসজিদ > দুর্গাসাগর > বরিশাল লঞ্চঘাট > ঢাকা সদরঘাট।
যাত্রা শুরু: ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট
ভ্রমণ সমাপ্তি: ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা
আসন: ১৫-২০ জন।
ভ্রমণসূচি
০ দিন: বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৬
সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাসবহুল লঞ্চে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা।
লঞ্চে রাতের খাবার। মেনু: সাদা ভাত, সবজি, মুরগির মাংস, ডাল।
প্রথম দিন: শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৬
খুব ভোরে বরিশাল পৌঁছানো।
সকাল ৬টা, রিজার্ভড মাইক্রোবাস/ মাহিন্দ্রোতে উজিরপুরের লাল শাপলার সাতলা বিলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু।
পথে সকালের নাস্তা গ্রহণ। মেনু: পরাটা, সবজি, ডিম ভাজি, চা।
রিজার্ভড ট্রলার/ নৌকায় সাতলা বিল ভ্রমণ।
বিলে দুপুরের খাবার গ্রহণ। মেনু: সাদা ভাত, ভর্তা/শাপলা ভাজি, বিলের মাছ, ডাল।
বিকেলে বরিশাল শহরের উদ্দেশে যাত্রা।
রাতের খাবার। মেনু: কাচ্চি বিরিয়ানী, বোরহানী, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস।
বরিশাল শহরের টুইন শেয়ারে হোটেলে রাত যাপন।
দ্বিতীয় দিন: শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
সকাল ৭.৩০ মিনিট, সকালের নাস্তা গ্রহণ। মেনু: পরাটা, সবজি/ডাল, ডিম, চা।
সকাল ৮টা, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের বাড়ি চাষাড়ার উদ্দেশে যাত্রা।
বেলা ১১টা, বায়তুল আমান মসজিদ পরিদর্শন।
দুপুর ১২টা, দুর্গাসাগর পরিদর্শন।
দুপুর ১টা, দুপুরের খাবার গ্রহণ। মেনু: সাদা ভাত, শাক, গরুর মাংস, ডাল।
বেলা ২টা, বরিশাল লঞ্চঘাটের উদ্দেশে হোটেল ত্যাগ।
বেলা ৩টা, ঢাকার উদ্দেশে গ্রিন লাইনের এসি লঞ্চে বরিশাল ত্যাগ। লঞ্চে নদীর বিশালতা, ইলিশ ধরার দৃশ্য ও সূর্যাস্ত উপভোগ।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত প্যাকেট স্ন্যাকস গ্রহণ।
রাত ৯টা, ঢাকা সদরঘাট পৌঁছানো ও ট্যুরের সমাপ্তি।
সাথে যা যা নিতে পারেন
মোবাইলের চার্জার ও পাওয়ার ব্যংক।
নিজের ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিস। (কোনোভাবেও ট্রলি নেয়া যাবে না)
হেডলাইট অথবা টর্চলাইট।
রোদ প্রোটেকশনের জন্য ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন।
বিলে গোছলের জন্য গামছা, লুঙ্গি ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।
ভ্রমণকে উপভোগ করুন, অবশ্যই মনে রাখবেন
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।
Pingback: লাল শাপলার রাজ্য | Dhaka Tourist Club
Pingback: সিলেটের ‘দ্বিতীয় বিছনাকান্দি’ | Dhaka Tourist Club
Pingback: কোরবানির ছুটিতে সাজেকে গ্রুপ ভ্রমণ | Dhaka Tourist Club
Pingback: পূজা ও আশুরার ছুটিতে সাজেকে গ্রুপ ভ্রমণ | Dhaka Tourist Club